দেশে কি সেই জাহেলী যুগ চলে আসলো নাকি

লিখেছেনঃমোহাম্মদকাশেম
দেশে কি সেই জাহেলী যুগ চলে আসলো নাকি আবূ জাহেলের মত কেউ যে কিনা মুসলমানের ইবাদত করাকে বাধা দেয়... যেমন বাধা দিয়েছিলো রাসূল (সাঃ)কে যখন রাসূল (সাঃ) কাবা শরীফে নামায আদায় শুরু করেন এবং আবূ জাহেল তাঁকে ধমক দিয়ে নামাযে বাধা দেবার চেষ্টা করে। (এ ঘটনার পরে সূরা-আল-আলাক নাযিল হয়)।

হে মুসলমানেরা তোমরা জেগে উঠো এ দ্বীন কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়, যে যা খুশি তাই করবে..এই দ্বীন পরিপূর্ণ করার জন্য রাসূল (সাঃ) ও ওনার সাহাবীগণ বহু রক্ত দিয়েছেন এমনকি অনেক সাহাবী শহিদ হয়েছেন....।

এই ভাবে চুপ করে ঘড়ে বসে থেকোনা,যেমন বসে ছিলো পূর্বের লোকেরা-" পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে থাকতে পেরে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান ও মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করতে অপছন্দ করেছে এবং বলেছে, এই গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না। বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত।"
সূরা-তওবা-৮১

হে ইমানদারগণ তোমরা উত্তম রুপে তাদের সাথে জিহাদ কর- "আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।"
সূরা-বাকারা-১৯৩

আল্লাহ বলেন- "আর তোমরা যদি আল্লাহর পথে নিহত হও কিংবা মৃত্যুবরণ কর, তোমরা যা কিছু সংগ্রহ করে থাক আল্লাহ তাআলার ক্ষমা ও করুণা সে সবকিছুর চেয়ে উত্তম।"
সূরা-আল-ইমরান-১৫৭

আল্লাহ আরো বলেন- "আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।"
সূরা-আল-ইমরান-১৩৯